ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়েব ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে, স্টারলিংক তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্টারলিংককে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লাইসেন্স দেয়। এরপরই ৯০ দিনের মধ্যে পরিষেবা চালুর শর্ত পূরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টারলিংক বাংলাদেশে দুটি প্যাকেজ চালু করেছে
Starlink Residential: মাসিক ৬,০০০ টাকা
Starlink Roam: মাসিক ৪,২০০ টাকা
উভয় প্যাকেজেই কোনো ডেটা লিমিট বা গতির বাধা নেই। গ্রাহকরা ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়েব বলেন, “আজ থেকে বাংলাদেশের গ্রাহকরা অর্ডার দিতে পারবেন। এটি প্রধান উপদেষ্টার দূরদর্শী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, যা ৯০ দিনের মধ্যে সেবা চালুর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।”
স্টারলিংকের এই সেবা বাংলাদেশের এমন অনেক অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ফাইবার বা উচ্চগতির ইন্টারনেট এখনও পৌঁছায়নি। তাইয়েব উল্লেখ করেন, “এটি শুধু প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য নয়, বরং ব্যবসায়ী, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি টেকসই সমাধান। বিশেষ করে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে যেখানে ইন্টারনেট সংযোগের স্থিতিশীলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে স্টারলিংক নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে।”
স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত পোস্টে বলা হয়েছে, “স্টারলিংকের উচ্চগতি ও কম লেটেন্সির ইন্টারনেট এখন বাংলাদেশে!”
স্টারলিংক কী নিয়ে আসছে ভিন্নতা?
সীমাহীন ডেটা: কোনো ফেয়ার ইউজ পলিসি (FUP) বা গতি ক্যাপিং নেই। উচ্চ গতি: সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস স্পিড। স্যাটেলাইট-ভিত্তিক সমাধান: যেখানে ইন্টারনেট পরিকাঠামো পৌঁছায়নি, সেখানে সহজেই সংযোগ দেওয়া সম্ভব।
যদিও স্টারলিংকের সেবা বর্তমানে তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান হতে পারে।
বাংলাদেশে স্টারলিংকের এই প্রবেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে মূল্য কাঠামো আরও সহজলভ্য হলে এটি কীভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন