ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আজ রোববার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার ঠিক আগে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আটক করার পর জানা যায়, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার ভাটারা এলাকায় সংঘটিত এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে সংঘটিত একটি সহিংস ঘটনায় আওয়ামী লীগের সমর্থক এনামুল হকের ওপর হামলায় তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে অর্থায়নের অভিযোগও রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর প্রথমে তাকে ভাটারা থানায় নেওয়া হলেও পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাটারা থানার ওসি মাজহুরুল ইসলাম এবং বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার এএইচএম শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় অভিনেতা জায়েদ খান, অপু বিশ্বাস ও ভাবনাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করা নুসরাত ফারিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ ‘জ্বিন ৩’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন সঞ্চালনা ও মডেলিংয়েও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বিনোদন জগতে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। মামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জড়িত থাকার ধারণা থেকে অনেকেই এটিকে নিছক আইনি পদক্ষেপ না বলে, বরং সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি অর্থবহ বার্তা হিসেবেও দেখছেন।
এখন সবার দৃষ্টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের দিকে—এই মামলার সত্যতা কীভাবে উন্মোচিত হয় এবং নুসরাত ফারিয়াসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়ায়, তা সময়ই বলে দেবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন