বিপাশাকে নিয়ে অশালীন ট্রলের প্রতিবাদে ঝড়! মা হওয়া কি অপরাধ?

 

একদিকে মেকআপহীন, মোবাইল হাতে বিপাশা বসু; অপরদিকে গ্ল্যামারাস রূপে বিপাশা বসুর একটি পেশাদার ছবি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে বিতর্ক।

একদিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ধরা পড়া মুহূর্ত, অন্যদিকে স্টাইলিশ ফটোশুট — বিপাশা বসুর এই দুই রূপ ঘিরে নেটদুনিয়ায় চলছে সমালোচনা ও সমর্থনের হিড়িক।

বিপাশা বসু, জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী, মা হওয়ার পর স্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছেন। এই বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেক নেটিজেন তার পরিবর্তন নিয়ে ইতিবাচক সমর্থন জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ কটাক্ষও করেছেন। এই ঘটনা মাতৃত্বের পর নারীদেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক দিকগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।

সন্তান জন্মদানের পর বিপাশা বসুর ওজন বৃদ্ধি পায়, যা অনেক নারীর জন্যই একটি সাধারণ ঘটনা। তবে তিনি নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তার ফিগার ফিরে পেয়েছেন। সম্প্রতি তার একটি অ্যামেকআপ ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

কিছু ব্যবহারকারী বিপাশার শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "তিনি যখন যেভাবে থাকতে চান, সেভাবেই থাকুন। মাতৃত্বকে প্রাধান্য দেওয়াটা প্রশংসনীয়।" আরেকজন উল্লেখ করেছেন, "সারোগেসির পরিবর্তে নিজেই সন্তান জন্ম দেওয়ায় তিনি সম্মানের দাবিদার।"

বিপাশাকে নিয়ে সমালোচনার জবাবে টলিউড অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলেন, "কিছু মানুষ শুধু নেতিবাচক মন্তব্য করার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাদের এড়িয়ে চলাই ভালো।" তিনি আরও যোগ করেন, "এই ধরনের নিম্ন মানসিকতা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখে।"

কিছু নেটিজেন দাবি করেছেন যে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা তৈরি বা এডিট করা হতে পারে। তারা বিপাশার অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ছবির সঙ্গে অসামঞ্জস্য তুলে ধরেছেন। তবে অনেকেই এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

মাতৃত্বের পর শারীরিক পরিবর্তন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। বিপাশা বসু ছাড়াও অনেক সেলিব্রিটি এই পর্ব অতিক্রম করেছেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে সমালোচনা না করে তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে প্রাধান্য দেওয়া।

এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক দিকটিও তুলে ধরেছে। অপরাজিতা আঢ্যের মতো শিল্পীরা ট্রোলারদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যবহারকারীদের উচিত সত্যতা যাচাই করে গঠনমূলক মন্তব্য করা।

আপনি কি মনে করেন মাতৃত্ব পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে সমালোচনা করা উচিত? নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান এবং এই পোস্টটি শেয়ার করে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন